খাগড়াছড়িতে বরণ ও সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা।


Tripon Joy প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৬, ২০২৩, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন /
খাগড়াছড়িতে বরণ ও সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা।

জেলা প্রতিনিধি।

খাগড়াছড়ি জেলাতে আরম্ভর ভাবে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৩৭ জন সহকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা ররণ ও সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন। ২৬ শে অক্টোবর খাগড়াছড়ি জেলায় অফিসার্স ক্লাবে আরম্ভর ভাবে এই বরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে শিক্ষকদের অবদান শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আসতে শুরু করে। আগত সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত ৩৩৭ জন শিক্ষকদের সমাগমে  পরিপূর্ণ হয়ে উঠে অফিসার ক্লাবের হল রুম। এরপর পরে ই  নবশিক্ষকদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে ই সকাল ১১:০০ টার দিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি জেলার সাংসদ ও শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে তাঁকেও অনুষ্ঠানে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর অতিথিদের আসন গ্রহণের পর জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে অতিথিদেরকে গেঞ্জি ও ক্যাপ দিয়ে বরণ করার পর শুরু হয় মূল আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উল্লেখ দেশ গঠনের শিক্ষকদের অবদানের কথা, উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা, মুক্তিযুদ্ধের কথা। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে মাদার অফ হিউমিনিতি উল্লেখ করে বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার,বর্তমান সরকারকে বারবার দরকার বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি এদেশকে উন্নতির সমৃদ্ধি সম্প্রীতির জন্য আগামীতে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের সাথে সামিল হওয়ার জন্য শিক্ষকদের আহ্বান জানান। এ সময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য নিরোপৎল খীসা, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,জেলা পরিষদের সদস্য আশুতোষ চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য ক্যাজরী মারমা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও অন্যান্য শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদ পারভেজ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এক মনোমুগ্ধকর সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘটে।